পটুয়াখালী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বনের গুরুত্ব অপরিসীম। বন রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করে জীববৈচিত্র্য ভারসাম্য রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
“বন ও জীববৈচিত্র্য মূল্যবান অতি, হারালে অপূরণীয় ক্ষতি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২১ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, পটুয়াখালীর হলরুমে উপকূলীয় বন বিভাগ, পটুয়াখালীর আয়োজনে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পে সৌজন্যে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপকূলীয় বন বিভাগ, পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী বন সংরক্ষক দেবদাস মুখার্জী। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ, কে,এম মনিরুজ্জামান, সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পটুয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলমসহ বন বিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিটের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও এনজিও’র প্রতিনিধিবৃন্দ।
বনায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তর্জাতিক বন দিবস, ২০২০ উদযাপন এর উপর আলোচনা করেন কোস্টস্ট্রাটে’র টিম লিডার এম ডি নাজমুস সাকিব। “বন ও জীববৈচিত্র্য মূল্যবান অতি, হারালে অপূরণীয় ক্ষতি” এই প্রতিপাদ্যের উপর আলোচনা করেন এস এম হেমায়েত জাহান, অধ্যাপক, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বক্তরা সভায় বলেন, সর্বপ্রথম বিশ্ব বন সৃজন দিন পালন করা হয় ১৯৭১ সালে ২৩ তম জেনারেল এ্যাসিমবিলী অফ ইউরোপিয়ান কনফেডারেশন অফ এগ্রিকালচার সম্মেলনে। এরপর ইউনাইটেড ন্যাশন ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেন ঠিক করেন যে প্রতিবছর ২১ মার্চ বিশ্ব বনসৃজন দিবস পালন করা হবে। কিন্তু ২০১২ সালে দি ইউনাইটেড ন্যাশন জেনারেল এ্যাসিমবিলী ঘোষণা করেন যে ২১ মার্চ প্রতিবছর আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন করা হবে। বক্তরা আরও বলেন, গাছ কার্বন সঞ্চয় করতে পারে যার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং গাছ স্থানীয় জলবায়ু উন্নতর করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের বৃক্ষ নিধন না করে গাছ লাগাতে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মোঃ মাহফুজুর হক জিয়া, গীতা পাঠ করেন মনীন্দ্র চন্দ্র দাস। উপস্থাপনা করেন বোতলবুনিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের আলোচনা সভায় প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ও মুখমন্ডল ধৌত করেন এবং করোনা ভাইরাসের উপর দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।