গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষন বঞ্ছনা ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন।এসময় তাকে ১৩ বছর কারাগারে থাকতে হয়েছে। তিনি একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র সংগামে ডাক দিয়েছিলেন।বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেদিন এদেশের তরুন, যুবক,ছাত্র, শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।নয় মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানিদের শোষনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে জম্ম হয় স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশের।
সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেলে গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস চত্বরে ই-পাসপোর্ট কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে সাহস পাইনি। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পুনর্গঠনে আতœনিয়োগ করেন তখন স্বাধীনতা বিরোধী একটি গোষ্ঠী যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারিনি বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে। তারা বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক মিনি পাকিস্তান বানানোর উদ্দেশে ইতিহাস বিকৃতি করে জাতির পিতার নাম নিশানা পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধ’ ছিলেন নিজে নিজেই প্রতিষ্ঠিত। তিনি নিজেই ছিলেন একটি ইতিহাস। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধ’কে কোনদিনও মুছে ফেলা যাবেনা। বঙ্গবন্ধ’কে বাঁচিয়ে রাখতে কেউকে কিছ’ করতে হবেনা। বঙ্গবন্ধ’র আদর্শকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। গোপালগঞ্জের সবাই বঙ্গবন্ধ’র ভক্ত।তারপরও এখানে মুফতি হান্নানদেরমতো কুলঙ্গারদের জম্ম হয়েছে। সকলকে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।বঙ্গবন্ধু শততম জম্মবার্ষিকীতে দাড়িয়ে আমরা একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরালস কাজ করে যাচ্ছি।বঙ্গবন্ধ’ চেয়েছিলেন মানুষের খাদ্য,বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ ৫টি মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে।যেখানে মানুষের কোন কষ্ট থাকবে না। মানুষ সম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধ’ ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তার কাছে হিন্দু মুসলমান কোন ভেদাভেদ ছিলনা।শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের একমাত্র আঙ্গীকার।
অনুষ্ঠানে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান, এনডিসি, এফডাব্লূউ, পিএসসি, টিই।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহপরিচালক মেজর জেনালের মোঃ শাকিল আহমেদ, এডাব্লুউসি, পিএসসি, জেলা আওযামীূলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধূরী এমদাদুল হক, সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লূৎফর রহমান বাচ্চু, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেক, প্রমূখ।
এইচবি/এমআর