কুয়াকাটায় লক্ষ্মীরহাট আয়রণ ব্রীজটি এখন মরণফাঁদ

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় লক্ষ্মীরহাট আয়রণ ব্রীজটি এখন মরণফাঁদ
বৃহস্পতিবার ● ১২ মার্চ ২০২০


কুয়াকাটায় লক্ষ্মীরহাট আয়রণ ব্রীজটি এখন মরণফাঁদ

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

কুয়াকাটায় লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীর হাট খালের উপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর দেড়যুগ আগে এ ব্রিজটি নির্মান করলেও সংস্কারের অভাবে দু’ বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্রিজটির উপর দিয়ে পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চলাচল করে। ফলে চলাচল করতে গিয়ে স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর ২০০১ সালে লক্ষ্মীর হাট খালের উপর এ আয়রণ ব্রিজটি নির্মান করে। প্রতিদিন এই ব্রিজটির উপর দিয়ে খাপড়াভাঙ্গা ও লতাচাপলী দু’ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছে। এছাড়াও কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজ, ঐতিহ্যবাহি মিশ্রীপাড়া ফাতেমা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মিশ্রিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহা¯্রাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের ব্রীজ পার হয়ে স্কুল-কলেজে আসতে হয়। মেরামত না হওয়ায় বর্তমানে ব্রীজটি চরম বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। বর্তমানে ব্রিজটির আর সিসি ¯ি¬পলার ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়রা এ ব্রিজটি সচল রাখতে কাঠ দিয়ে মেরামত করে চলাচল করছে, তাও রোদ বৃস্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। এই লক্কর-ঝক্কর ব্রিজের উপর দিয়ে পথচারীরা চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পরেন। সবচেয়ে বেশী দুর্ঘটনার শিকার হয় স্কুল-কলেজ পড়য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যে কোনো সময় ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

লক্ষ্মীরহাট গ্রামের শফিকুল আলম ও আঃ রশিদ হাওলাদার জানান, নির্মানের পর থেকে এ ব্রিজটির আজ পর্যন্ত কোন মেরামত করা হয়নি। লোকজনের চলাচলে দূর্ভোগ দেখে কাঠের তক্তা দিয়ে স্থানীয়রা মেরামত করেছে। তা আবার রাতের আঁধারে কাঠের তক্তা চোরে নিয়ে গেছে।

লতাচাটলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, ব্রিজটি দিয়ে চলাচল অনুপযোগি ঘোষণা করা হয়েছে তার পরেও লোকজন ঝুঁিক নিয়ে চলছে। লতাচাপলী ইউনিয়নে এরকম আরও ব্রিজ রয়েছে যা দ্রুত নির্মাণ করা দরকার অন্যথায় যেকোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, তবে সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ চলছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর’র প্রকৌশলী আঃ মান্নান বলেন, বিষয়টি জেনেছি এবং কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের  চেষ্টা চলছে।

এমবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৯:১৮ ● ৪১৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ