গোাপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ঢাকার কেরানীগঞ্জের উইল লিটল ফ্লায়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বহনকারি শিক্ষা সফরের একটি মিনি বাস (কোস্টার) দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ আন্তত ১৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত ওই স্কুলের শিক্ষক সাঈদা ফাহিমার (৩৫) বাম হাতের উপরি ভাগ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সাঈদা ফাহিমা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অপর আহতরা হলেন, শিক্ষার্থী আবু নাফিস চৌধুরী (১৯),এহসান (১৫), আবু হাসান (২০), সাইমন (১৬), তৌহিদ আহমেদ (১৮), সৈয়দ মাহিদ (২৩), অন্তর (১৮), মাহমুদ (১৭), শাহরিয়ার (১৮), আরাফাত (১৮), কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম (২৫) বেলাল (৪০) ও তরিকুল (৩০)।
গোপালগঞ্জের অফিসার ইনচার্জ মোঃমনিরুল ইসলাম দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উইল লিটল ফ্লায়ার স্কুলের শিক্ষার্থীদের বহনকারি শিক্ষা সফরের একটি মিনিবাস (কোস্টার) টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের উদ্দেশে যাওয়ার সময় ঢাকা-খুলনা মহসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া পেট্্েরাল পাম্পের সামনে সড়কের উপর থামিয়ে রাখা (পার্কিং করা) একটি ট্রাককে সজোরে আঘাত করে। এতে শিক্ষার্থীদের বহনকারি মিনিবাসটি ( কোস্টার) ধুমড়ে মুচড়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস একটি টীম ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ জেনালের হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষিকা সাঈদা ফাহিমার বাম হাতের উপরিভাগ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রায়াজনীয় চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত অপর শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা শংঙ্কা মুক্ত বলে ওই চিকিৎসকরা জানান।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন দূর্ঘটনায় আহদের খোজখবর নিতে হাসপাতালে যান।
এইচবি/এমআর