নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

প্রেমের টানে কালকাতার মেয়ে সুষ্মিতা ছুটে এসেছেন পিরোজপুরের নেছারাবাদে।  কলকাতার ব্রাকপুর থেকে প্রেমের টানে ছুটে এসেছে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের মাহামুদকাঠী গ্রামের ছেলে খাইরুলের বাড়িতে। খাইরুল ওই গ্রামের মোঃ সোলায়মান এর ছেলে। ১ ফেব্রুয়ারি কোন রকম পাসপোর্ট ছাড়াই দালাল চক্রকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে যশোরের বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সুস্মিতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেইসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় ৪ বছর পূর্বে। সুস্মিতা বাংলাদেশে আসার পর প্রেমিক খাইরুলের সাথে দেখা হয় ঢাকায় এবং তারা দু’জনে কুমিল্লা তার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়ে চার দিন অবস্থান করেন। খাইরুলের বাবা বিষয়টি মেনে না নিলে খাইরুল হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে সুষ্মিতাকে নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ী স্বরূপকাঠীতে চলে আসেন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে আসলে মুহুর্তের মধ্যে জানা জানি হয়ে যায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে বিধায় সৃষ্টি হয় জটিলতা। খাইরুলের পরিবারের লোকজন স্থানীয় ভাবে অনুষ্ঠানিকতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে খাইরুল মেয়েকে নিয়ে পাড়ি জমায় ঢাকায়।
এব্যাপারে কলকাতার মেয়ে সুষ্মিতা জানায়, খাইরুলের সাথে তার ফেইজবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। বিগত চার বছর ধরে চলে আমাদের সম্পর্ক। আমার পরিবার আমাকে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করিলে আমি খাইরুলের সাথে কথা বলে এখানে চলে এসেছি। প্রয়োজনে আমি ধর্ম ত্যাগ করে খাইরুলকে বিয়ে করবো কিন্তু দেশে ফিরে যাব না। সুষ্মিতা আরও বলেন, আমি কলকাতায় ব্রাকপুর স্থানীয় কলেজ থেকে ¯œাতক ডিগ্রী লাভ করেছি। আমি জেনে শুনে খাইরুলের সাথে সম্পর্ক করেছি। খাইরুলের সাথে আমার মন-দেয়া নেয়া হয়ে গেছে। বাকী জীবনটা এক সাথে থাকতে চাই। এব্যপারে খাইরুল একই সুরে সুর মিলিয়েছে।
খাইরুলের মায়ের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার গেলেও পরে স্বীকার করে। মেয়েটি হিন্দু আমার ছেলে মুসলিম এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন কাজ এবং বয়সেও বড়। কিন্তু মেয়েটির সাথে আমার ছেলের যেহেতু সম্পর্ক হয়ে গেছে মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করার নাই। আমি মেয়েটির বাবার সাথে কথা বলেছি, সে এসে তার মেয়েকে নিয়ে যাবে কয়েকদিন আমাদের কাছে রাখতে বলেছে। মেয়েটি হিন্দু বিধায় ছেলের সাথে বিয়েও দিতে পারছি না। এ রিপোর্ট লেখার পূর্বে পর্যন্ত খাইরুল এবং সুস্মিতা সম্পর্কে সর্ব শেষ তথ্য জানতে চাইলে খাইরলের বোন বলে তারা কোথয় আছে আমরা জনিনা ওদের মোবাইল বন্ধ। খোজ নিয়ে জানা যায় খাইরুল এবং মেয়েটি বাড়ির আসে পাশে  কোথাও লুকিয়ে আছে।

এমএএ/এমআর