বশেমুরবিপ্রবি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্র্ষের ঘটনা ঘটেছে। জুনিয়র এক ছাত্রীকে উত্যক্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই বিভাগের অন্তত: ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিপুস ক্যান্টিন সংলগ্ন রাস্তায় আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে আইন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী অঙ্কিতের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা অঙ্কিতকে মারধর করে। পরবর্তী সময়ে অঙ্কিতের সহপাঠীসহ আইন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিষয়টি মীমাংসা করতে আসলে পুনরায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, আইন অনুষদের ডিন মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. হাসিবুর রহমানসহ অন্য শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।’
জানা যায়, এ সংঘর্ষে আইন বিভাগের প্রায় ১০ জন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছ। এদের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২ জন এবং আইন বিভাগের ৩ জন শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অঙ্কিত জানান, ‘বিগত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) বাসে খুলনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী শাওনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে শাওন আমার কাছে আমার ফোনটি চায় এবং তার এক বান্ধবীকে কল দিয়ে কিছু সময় কথা বলে। পরবর্তী সময়ে ওই মেয়ে পুনরায় আমাকে কল দিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। পরে আজ দেখা করতে গেলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২ শিক্ষার্থী এসে আমার পরিচয় জানতে চায় এবং পরিচয় দেওয়ার পরপরই আমাকে মারতে শুরু করে।’
তবে, জুনিয়র ওই ছাত্রী বশেমুরবিপ্রবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ জানান, ‘অঙ্কিত দীর্ঘদিন যাবত ফেসবুকে আমাদের এক ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করছিলো। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য আইন বিভাগের অঙ্কিতকে আমরা ডাকি। এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কোনো কারণ ব্যতীতই আমাদের ওপর হামলা করে।’
এদিকে বিকাল ৫টা ৩০মিনিটে সমঝোতার জন্য আলোচনা চলাকালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে আইন বিভাগসহ ৫ বিভাগের ক্লাস রুমে ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে আইন বিভাগের শিক্ষক উম্মে হাবীবা সাগর কন্যা প্রতিনিধিকে জানান, ‘হামলাকারীদের বারবার শিক্ষক পরিচয় দেওয়ার পরেও তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং পরে তারা ক্লাসরুম ভাংচুর চালায়।’
এসকে/এমআর