সাগরকন্যা ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥
ঝালকাঠির রাজাপুর-নৈকাঠি-বেকুটিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পুননির্মাণ কাজে অনিয়ম নিয়ে সাগরকন্যাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সড়ক ও জনপদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাদা মাটি সরিয়ে বালু ও পাথর বিচিয়ে সড়ক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এর আগে সড়ক খোঁড়ার পর বেলেমাটি ও বালু দেওয়ার কারণে বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। ওই বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা সড়ক পরির্দশনে গিয়ে দ্রুত কাদামাটি সড়িয়ে বালু ও পাথর বিচিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
বুধবার সরেজমিনে বিশ^াসবাড়ি ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের কাদামাটি সড়িয়ে পুনরায় বালু ও পাথর বিচিয়ে সমান করে পীচ ঢালাইর কাজ করা হচ্ছে। ইতিমেধ্য নৈতকাঠি থেকে পাড় গোপালপুর এলাকার সড়কে পীচ ঢালাইও সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বৃষ্টি হওয়ায় সড়কের পাশে খুড়ে রাখা বেলেমাটি ও বালু দেয়া হয়েছিলো। যা ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের টনক নড়ে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বর্তমানে সড়কের পীচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে, কিছু অংশের কাজ সম্পন্নও হয়েছে। পুরো কাজ সম্পন্ন হলে বরিশাল-খুলনা যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাগব হবে। ফলে সাচ্ছন্দে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন। রাজাপুরের মেডিকেল মোড় থেকে সাতুরিয়া স্কুল সংলগ্ন স্টিল ব্রীজ পর্যন্ত ৯ কি.মি. সড়ক পুননির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
সংস্কার কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম স্বপন তালুকদার ও নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, সিলেট ও ঢাকা থেকে বালু এনে পাথর মিশিয়ে গ্রেডিং করা হয়েছিলো। বৃষ্টিতে যানবাহন চলাচল করায় কয়েক স্থানে কর্দমাক্ত হয়েছিলো পরবর্তীতে ভেকু মেশিন দিয়ে তা অপসারণ করে নতুনভাবে মানসম্মত বালু ও পাথর দিয়ে ফের গ্রেডিং করে করা হয়েছে। কাজের গুনগতমান ঠিক রেখেই দ্রুত সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বর্তমানে পীচ ঢালাই কাজ চলমান রয়েছে, কয়েক কিলোমিটার সড়কে পীচ ঢালাই হয়েও গেছে। দ্রুত অল্প দিনের মধ্যেই সড়কের কাজ সম্পন্ন হবে এবং এ সড়কের যাতায়াতকারীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাড়ব হবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ মো. নাবিল হোসেন জানান, রাজাপুর মেডিকেল মোড় থেকে সাতুরিয়া স্টিল ব্রীজ পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারের সংস্কারের জন্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কার্যাদেশে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময়সীমা রয়েছে সব সময়ই দপ্তরের পক্ষ থেকে রাস্তার কাজ তদারকি করা হচ্ছে। সঠিকভাবেই কাজ চলছে, অল্প দিনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে এবং সড়কে আর কোন ভোগান্তি থাকবে না।
এমএআরআর/কেএস