কলাপাড়ায় স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন

প্রথম পাতা » লিড নিউজ » কলাপাড়ায় স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীর সংবাদ সম্মেলন
সোমবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০২০


---

 

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥ 

স্বামীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রেমিক বায়জিদের বাবা লালুয়ার চারিপাড়া গ্রামের নাজির হাওলাদারের বাড়িতে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর অবস্থানের পরের দিন সংবাদ সম্মেলন করে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে। প্রতারিত পিতৃহীন ওই ছাত্রীর বাড়ি চাকামইয়ার চুঙ্গাপাশা গ্রামে। রবিবার রাতে হতভাগী কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এসে সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে কান্না জুড়ে দেয়। এখন দিশেহারা হয়ে গেছে। সে দাবি করছে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে চলাফেরা করেছে। হোটেলে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তার সর্বনাশ করে এখন বাড়িতে তুলে না নিয়ে গা ঢাকা দেয় বায়জীদ। প্রথম দফায় ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী বায়জীদের বাড়িতে যায়। তখন বায়জীদের মা তার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন। খাইয়ে-দাইয়ে বিদায় করেন। এরপরে বায়জিদকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়।

 

লিখিত বক্তব্যে ওই ছাত্রী জানায়, সে বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আর বায়জিদ নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়রিং শাখার একাদশ সেমিস্টারের ছাত্র। বায়জীদের বাড়ি লালুয়ার চারিপাড়া গ্রামে। নাজির হাওলাদারের ছেলে বায়জিদের সঙ্গে আড়াই বছর আগে ফেসবুকে প্রথম পরিচয়। কিছুদিন পরে বরিশাল মুক্তিযোদ্ধা পার্কে প্রথম দেখার পর দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এভাবে এক বছর পর ওই ছাত্রীকে বায়জীদ ভালবাসার প্রমাণ দিতে বলে এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চায়। রাজি না হলে কাজি ডেকে বিয়ে করে। ওই রাত বায়জীদ ছাত্রীকে নিয়ে বরিশালের একটি হোটেলে রাত্রি যাপন করে। এভাবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের এক বছর হয়ে যায়। বর্তমানে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করায় ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্বামীর দাবি নিয়ে বায়জীদের বাড়িতে যায়। পরে স্থানীয় মকবুল দফাদারের মাধ্যমে কাবিন করার কথা বলে সালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু কাবিনের বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে আমাকে বড় অংকের টাকার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে দ্বিতীয় বারের মত অধিকার আদায়ের জন্য ওই ছাত্রী ফের বায়জীদের বাড়িতে যায়। তখন নাজির হাওলাদার খারাপ ব্যবহার করে। পরে সুষ্ঠু সমাধানের কথা জানিয়ে কলাপাড়া থানার এস আই শওকত জাহানের মাধ্যমে ছাত্রীকে কলাপাড়া থানায় নিয়ে আসে। তারা বলে দেয় তাদের কিছুই করার নেই। বর্তমানে বাবা না থাকার কারণে এই ঘটনা শোনার পর ছাত্রীর মা লেখাপড়ার খরচ বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন বিয়ে না মেনে নিলে মৃত্যু ছাড়া তার কিছুই করার নেই বলে কান্না জুড়ে দেয় ওই ছাত্রী।

 

অভিযুক্ত বায়জীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা নাজির হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, তার ছেলের সঙ্গে ওই তরুনীর বিয়ে হয়নি। তাদের ব্লাকমেইল করছে।


এমইউএম/কেএস

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৩:৩৬ ● ৪৮১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ