লালুয়ার বানাতিবাজারের খাস জমিতে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা

প্রথম পাতা » লিড নিউজ » লালুয়ার বানাতিবাজারের খাস জমিতে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা
শনিবার ● ১১ জানুয়ারী ২০২০


---

 

কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥ 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পায়রা বন্দর ঘেঁষা বানাতি বাজারের খাস জমি এবং জোয়ার-ভাঁটার পানি প্রবাহের খাল পাড় দখল করে শতাধিক স্থাপনা তোলা হয়েছে। বাজারেই রয়েছে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদারের) অফিস। ফ্রি-স্টাইলে তোলা এ স্থাপনার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যেন কেউ লাগাম টানতে পারছে না।

 

সরেজিমনে দেখা গেছে, বাজারটিতে তোলা এসব স্থাপনার কোন একসনা বন্দোবস্তের রশিদ পর্যন্ত নেই। দোকানিরা বলছেন তারা বাজার চৌহদ্দির মধ্যে যেসব দোকান রয়েছে এজন্য বিধিমতে একশনা ডিসিআর কাটতে রাজি আছেন। এতে সরকার প্রচুর রাজস্ব পাবেন। এছাড়া বাজার চৌহদ্দির বাইরে রয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। কেউবা আবার পাকা ভবন করেছেন। যা অফিস, বাসাবাড়ি কিংবা দোকান হিসেবে ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। এছাড়া বাজারটির দুই দিকে জোয়ার-ভাঁটার পানি প্রবাহমান আন্ধারমানিক নদীর সঙ্গে সংযোগ শাখা খাল রয়েছে। ওই খালের পাড় দখল করে তোলা হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা।

 

উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, এক একর ৮১ শতক জমি বাজারের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে। ১৯১০-১৯১১ অর্থবছরে পেরি পেরি (চর্চা) ম্যাপ করা হয়। ওই ম্যাপ অনুসারে চান্দিনা ভিটি হিসেবে একশনা বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান থাকলে এ দশ বছরে কমপক্ষে দশ লাখ টাকা সরকার রাজস্ব পেত। ব্যবসায়ীরা চায় বিধি মেনে ডিসিআর নিতে। এছাড়াও এর বাইরে খাল পাড় ও পাউবোর জায়গায় গড়ে তোলা হয় অসংখ্য স্থাপনা। বনাতিবাজারে গবাদিপশু বিক্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। গরুর বাজারটির চারপাশও দখল করা হয়েছে বলে বহু মানুষ দেখিয়েছেন। অতিসম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ বাজারটি পরিদর্শন করেন। তারা বাজারে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের সাত দিনের সময়সীমা দিয়েছেন। ওই সময়সীমা পার হয়ে গেছে শুক্রবার। কিন্তু কোন কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। বানাতি তহশিল থেকে এও জানানো হয়েছে যে ১০৪ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যাদের স্থাপনার কারও সম্পূর্র্ণভাবে কিংবা কারও আংশিক অবৈধ রয়েছে। বর্তমানে বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেছেন তারা নদী পাড়ের যেসব স্থাপনা খাস জায়গায় করেছেন তা ভেঙ্গে নিবেন। আর বাজারের নির্দিষ্ট জমিতে যারা রয়েছেন তারা চাচ্ছেন, তাদের একশনা বন্দোবস্ত দেয়া হোক। তবে প্রশাসন বলছেন সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে যারা স্থাপনা করেছেন তা উচ্ছেদ করা হবে।

 

এমইউএম/কেএস 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৩২:৩৬ ● ৩৬১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ