কাউখালীর শিক্ষক স্বল্পতায় পাঠদান ব্যাহত

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » কাউখালীর শিক্ষক স্বল্পতায় পাঠদান ব্যাহত
রবিবার ● ৫ জানুয়ারী ২০২০


প্রতীকী ছবি

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি॥

শিক্ষক সংকটে পাঠদান চালু রাখাই দুরূহ হয়ে পড়েছে। পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলা দুই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সরকারি এস.বি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ১৭টি পদের মধ্যে ১১টিই শূন্য, সরকারি কে.জি.ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৬টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ১১টি পদ। দুইটি বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। শিক্ষক সংকটের কারণে দুইটি বিদ্যালয়ই হয়ে পড়েছে অতিথি শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এরপরও  জে.এস.সি ও এসএসসিতে ফেল ঠেকানো যাচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। পড়ালেখার মানও নিম্নমুখী।

 

সরেজমিন বিদ্যালয় দুইটিতে গিয়ে শিক্ষক সংকটের এই চিত্র পাওয়া যায়। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা। সরকারি এস.বি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদসহ ১৭টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৬জন। সঙ্গে ধার নিয়েছেন ৫জন অতিথি শিক্ষককে। এ অবস্থায় কোনো মতে জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, গত পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে এই শূন্যতা। সেই সঙ্গে তৃতীয় শ্রেনীর একজন ও চতুর্থ শ্রেণির ৩জন কর্মচারী পদ শুন্য। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে এসএসসি’র ফলাফলও ভালো করতে পারছে না। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক-সংকটের কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

তাছাড়া, উপজেলার সরকারি কে.জি.ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটও প্রকট। শিক্ষকের ১৬টি পদের মধ্যে আছেন কেবল পাচঁ জন। প্রধান শিক্ষকের পদসহ বাকি ১১টি পদই শূন্য। এরমধ্যে বাংলা, ইংরেজি, গণিতের একটি পদসহ হিসাব বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ধর্ম বিষয়ক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

 

এ বিদ্যালয়েন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. বাবর তালুকদার বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান চালু রাখাও দায় হয়ে পড়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কখনও কখনও দুইটি ক্লাসকে এক সঙ্গে করেও পাঠদান করা হয়। অস্থায়ীভাবে শিক্ষক দিয়ে কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়েছে। শিক্ষক-সংকটের কথা বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

আরএইচআর/কেএস 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৮:৫০ ● ৪১৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ