আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।।
বাঙ্গালির ঐহিত্য বিয়ে হয়লা গানের দক্ষিণাঞ্চলের উদ্ভাবক শিক্ষক আবুল কাসেম।এ গবেষনা মুলক গ্রস্থ রচনা করে ইতিমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে সুনাম কুড়িয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এখন তাকে হয়লার উদ্ভাবক হিসেবে চিনেন ও জানেন। গবেষণামুলক গ্রন্থের পাশাপাশি ইতিমধ্যে তিনি উপন্যাস, শিশু সাহিত্য ও কাব্যগ্রন্থসহ ২২ টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। যা মানুষের হাতে হাতে। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সামনে এগুতে পারেছেন না। সরকারীভাবে সহযোগীতা পেলে তার অপ্রকাশিত অনেক গ্রস্থ প্রকাশিত হতো বলে জানান তিনি।
নাম মোঃ আবুল কাসেম। লেখুনীতে সিদ্ধ হস্ত। শিক্ষকতা পেশায় থেকে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে বিভিন্ন উপন্যাস, শিশু সাহিত্য, সংগীত বিষয়ক ও গবেষনণামূলক গ্রস্থ রচনা করেছেন। এ পযর্ন্ত তার ২২ টি গ্রস্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উপন্যাস ৮টি, শিশু সাহিত্য ৪টি, সংগীত বিষয়ক ২টি, গবেষণামূলক ১টি ও অন্যান্য ২টি গ্রস্থ। রচনা করেছেন আধুনিক, দেশাত্ববোধক, পল্লীগীতি, বাউল সংগীত ও ভক্তিমূলকসহ এক হাজার গান। সুর ও সুধায় আধুনিক গানের গ্রস্থ ও ভাবসংগীতে বাউল গান গ্রস্থ তার দক্ষিণাঞ্চলের পল্লী এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ এখন তাকে হয়লার উদ্ভাবক হিসেবে চিনেন ও জানেন। তার সকল গ্রন্থ ও গান মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে।
এ গ্রন্থগুলোর লেখক ও হয়লার উদ্ভাবক আবুল কাসেম আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া গ্রামের এক সম্ভন্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল গনি মিয়া একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তার বাবা মঞ্চ নাটকে আমতলীর গুরু। মঞ্চ নাটকে আবদুল গনি মিয়া মানেই হাজারো দর্শকের উচ্ছাস। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ২০০৬ সালে অবসর গ্রহন করেন তিনি। কিন্তু বসে নেই তিনি। অবসর শেষে আমতলী আঁচল ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। ওই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চ নাটকে এখনো তার ভুমিকা অনুতুলনীয়। মা রোকেয়া বেগম ছাড়া স্ত্রী মাকসুদা বেগম(শিল্পী) ও পরিবারের সকলেই শিক্ষককতা পেশায় জড়িত। তিন ভাই বোনের মধ্যে আবুল কাসেম বড়। ১৯৮৬ সালে আমতলী একে পাইলট হাই স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৮৯ সালে আমতলী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৯১ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। ১৯৯৩ সালে পটুয়াখালী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এমএ এবং ২০০০ সালে বরিশাল বিএড কলেজ থেকে বিএড পাশ করেন।১৯৯৫ সালে ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ছাত্রজীবন থেকেই আবুল কাসেমের লেখালেখির প্রতি ছিল অধিক আগ্রহ। শিক্ষককতা পেশায় জড়ানোর পরপরই তার লেখুনি ধার আরো বেড়ে যায়। এখনও অব্যাহত রেখেছেন তার লেখুনি। বতমানে তার কয়েকটি গ্রস্থ রয়েছে অপ্রকাশিত। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তা প্রকাশিত করতে পারে নি। সরকারীভাবে আর্থিক সহযোগীতা পেলে তার অপ্রকাশিত গ্রস্থগুলো প্রকাশিত করতে পারবেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বেতারের একজন নিয়মিত গীতিকার। গ্রস্থ রচনার পাশাপাশি কাব্য গ্রন্থেও রয়েছে তার সুখ্যাতি।
দক্ষিণাঞ্চলের হয়লা গানের উদ্ভাবক, লেখক গীতিকার আবুল কাসেম বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমার লেখালেখির প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হয়ে আমার খেলালেখির আগ্রহটা আরো বিকশিত হয়। এ পযন্ত উপন্যাস, শিশু সাহিত্য, কাব্যগ্রন্থসহ ২২ টি গ্রন্থ রচনা করেছি। আধুনিক, দেশাত্ববোধক, পল্লীগীতিসহ এক হাজার গান রচনা করেছি। যা পাঠকের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, জীবনের সকল উপাজনই লেখালেখির পিছেনে ব্যয় করেছি। আমার এখনো অনেক গ্রস্থ অপ্রকাশিত রয়েছে। সরকারীভাবে আর্থিক সহযোগীতা পেলে অপ্রকাশিত গ্রস্থগুলো প্রকাশিত করতে পারতাম।
এমএইচএকে/কেএস