কলাপাড়ায় ব্রিজের ভগ্ন দশায় দুর্ঘটনার কবলে দশ গ্রামের মানুষ

প্রথম পাতা » লিড নিউজ » কলাপাড়ায় ব্রিজের ভগ্ন দশায় দুর্ঘটনার কবলে দশ গ্রামের মানুষ
শনিবার ● ৪ জানুয়ারী ২০২০


---

 

ফরাজী মো.ইমরান, কলাপাড়া॥ 

আয়রন বীজ্রের লোহার অনেক পিলারই ড্যামেজ হয়ে ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়রা ব্রিজের নিচে বাঁশ বেধে পিলার সোজা করে জোড়া দিয়েছেন। উপড়ের অনেক লোহার এঙ্গেল মরিচা পড়ে বাকা হয়ে গেছে। ব্রিজের কংক্রিটের স্লিপার গুলো আলাদা ভাগ হয়ে গেছে। অনেক স্লিপার ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। লোহার পাতগুলো নিচের দিকে ঝুঁকে বাকা হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। সকল এ্যাঙ্গেল জীর্ন দশায় পরিণত হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের দশটি গ্রামের সাথে বানাতী বাজারের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজটি এমন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

 

স্থানীয়দের ধারনা, প্রায় পঁচিশ বছর আগে বানাতি পাড়া খালের উপর এ ব্রিজটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে সঠিক কবে এ ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে সেটা বলতে পারছেনা কেউ। নির্মাণের পড়ে এ ব্রিজটি সংস্কার কিংবা পুনঃনির্মাণে উদ্যোগ নেয়নি কেউ।

---

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বানাতীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ব্রিজ পাড় হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করেন। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের মাঝের হাওলা, গোলবুনিয়া, চিংগুড়িয়া, মহল্লাপাড়া, নয়াপাড়া, দশকানী, মরিচবুনিয়া, ছোনখোলা, পশরবুনিয়া ও চড়পাড়া গ্রামের মানুষের সড়ক পথে উপজেলা সদরসহ বানাতী বাজার হাটখোলায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজটি। দীর্ঘ দিনে মেরামত কিংবা পুনঃনির্মাণ না করায় ব্রিজটি ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। যে কোন সময় ভেঙে পরতে পারে ব্রিজটি। তারপরও কোন উপায় না পেয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। আর এতে প্রায়শই ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ ব্রিজ দিয়ে একমাত্র মটরসাইকেল ছাড়া চলতে পারে না কোন যানবাহন। তাই অসুস্থ্য রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় ট্রলার কিংবা নৌকায় করে। ফলে ব্রিজ নিয়ে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

 

ছোনখোলা গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া জানান, যেকোন সময় ব্রিজটি ভেঙে যেতে পারে। অথচ এটি নির্মাণে কেউ উদ্যোগ নিচ্ছে না। জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে আসার সময় অনেক ভয় হয়। এছাড়া অনেক সময় অসাবধানতা বসত হাত থেকে কলম কিংবা বই খাতা ব্রিজের নিচে পানিতে পড়ে যায়।

 

লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিজ নির্মাণের লক্ষে উপজেলা পরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আমার নিজ অর্থায়নে ব্রিজে সামান্য মেরামত করা হয়েছে। তবে নির্মাণের আগ পর্যন্ত এ ব্রিজ দিয়ে শুধু মানুষ ছাড়া কোন যানবাহন চলতে পারবে না।

 

কেএস 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৮:১৫:১০ ● ৪০৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ