কলাপাড়ায় ঘুমন্ত প্রতিবন্ধিকে কুপিয়ে জখম

প্রথম পাতা » বিবিধ » কলাপাড়ায় ঘুমন্ত প্রতিবন্ধিকে কুপিয়ে জখম
বুধবার ● ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯


কলাপাড়ায় ঘুমন্ত প্রতিবন্ধিকে কুপিয়ে জখম

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

কলাপাড়ায় গভীর রাতে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সোবাহান মৃধা (১৮) কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (২৫ডিসেম্বর ) সকালে পরিবারের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থায় অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার মহিপুর থানার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম মনষাতলী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী সোবাহান নিজ ঘরে রাতে একা ঘুমিয়ে ছিল। দুর্বৃত্তরা গভীর রাতের কোন এক সময় ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। বুধবার সকালে তার মা বানেছা বিবি ঘর পরিস্কার করতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে ডাকচিৎকার দিলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহত সোবাহানের পিতা সুলতান মৃধা জানান, জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে তাদের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলার হাজিরা দিতে কলাপাড়া আদালতে আসেন তিনি। গভীর রাতে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তাকে ভেবে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় তারা। তিনি এ ঘটনার জন্য সে একই এলাকার কালাম মৃধা, শহিদ মৃধা, জাকির ডাকুয়া, মাসুদ ও জলিলকে দায়ী করেছেন ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কালাম মৃধা বলেন, তাদের সাথে জমি জমা সংক্রন্ত বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার সাথে আমরা জড়িত না। এটি পরিকল্পিত ঘটনা বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক জুনায়েত হোসেন খান লেলীন জানান, আহত সোবাহন মৃধা অবস্থা আশংকাজনক। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে তার শরীরে রক্ত শূন্যতা দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মো. সোহেল আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এমবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:১৫:৩৫ ● ৩২০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ