বানারীপাড়ায় ট্রিপল মার্ডারে প্রবাসীর স্ত্রী মিশু জড়িত
প্রথম পাতা »
বরিশাল »
বানারীপাড়ায় ট্রিপল মার্ডারে প্রবাসীর স্ত্রী মিশু জড়িত
বৃহস্পতিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বানারীপাড়ায় কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের বাড়িতে বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম ও বোন জামাই শফিকুল আলম সহ তিন জনকে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মিসকাত জাহান মিশুর তিন দিনের রিমান্ডে জড়িত থাকার প্রমান পেয়েছে পুলিশ। রিমান্ড শেষে বুধবার বিকেলে মিশুকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ৬ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের বাড়িতে বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম, বোন জামাই শফিকুল আলম ও খালাতো ভাই ভ্যান চালক ইউসুফকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ঘাতক জাকিরের সঙ্গে পরোকীয়া ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকার শিকারোক্তি অনুযায়ী এক দিন পর প্রবাসীর স্ত্রী মিসকাত জাহান মিশুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সে প্রথম থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করে আসার পাশাপাশি ঘাতক জাকিরের সঙ্গে তার পরোকীয়া সম্পর্কের কথাও অশি^কার করে আসছিলেন। তবে প্রাবাসীর স্ত্রী মিশুর মোবাইল ফোনের কল লিষ্টের সিডিআর সংগ্রহ করে তার কল লিস্টে ঘাতক জাকিরের সঙ্গে অসংখ্য বার কথা বলার প্রমান সহ প্রবাসীর বাড়িতে তিন খুনের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, প্রবাসীর বাড়িতে তিন খুনের ঘটনায় জড়িত থাকা তিন জনকেই আমরা গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করতে স্বক্ষম হয়েছি। প্রাবাসীর স্ত্রী মিশুর সঙ্গে জাকিরের সম্পর্ক থাকার বিষয়ে মোবাইল ফোনের কল লিষ্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সে গুলো আমরা এনালাইসিস করে দেখছি। এছাড়াও তিন খুনের ময়না তদন্তর রিপোর্ট পেলেই এ ব্যাপারে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
অপরদিকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের বাস স্ট্যান্ডে স্থানীয় বাসিন্দারা কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে তিন খুনের ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন।
প্রসংঙ্গত কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের বাড়িতে বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম ও বোন জামাই শফিকুল আলম সহ তিন জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত জীনের বাদশা জাকির হোসেন ও তার সহযোগীকে ৭ ডিসেম্বর পুলিশ ও র্যাব-৮ পৃথক ভাবে অভিযান চালিয়ে পূর্ব সলিয়াবাকপুর ও বরিশাল সিটি এলাকা থেকে গ্রেফতার ও লুন্ঠিত র্স্বলংকার এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। পরে ওই দিন রাতে কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের ছোট ভাই ঢাকা এন.আর.বি ব্যাংক গুলশান শাখার কর্মকর্তা সুলতান মাহামুদ বাদী হয়ে জাকির হোসেন ও তার সহযোগী জুয়েলকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ শিশির কুমার পাল নিজেই এ মামলাটি তদন্ত করছেন বলে জানান। এ বিষয়ে মামলার বাদী ঢাকা এন.আর.বি ব্যাংক গুলশান শাখার কর্মকর্তা সুলতান মাহামুদ জানান, ঘতরা তার বৃদ্ধা মা ও বোন জামাই সহ তিন জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। তিনি ঘাতকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাতির দাবী জানান।
জিএমআর/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২১:১৬:৩৮ ●
৪০৬ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)