দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করতে ছোট জাতের নারিকেল চাষে কৃষক ঝুঁকছে। অল্পো জমিতে অধিক উৎপাদন ও লাভজনক হওয়ায় কৃষক ছাড়াও সাধারন মানুষ উচ্চ ফলনশীল ছোট জাতের নারিকেল চাষের দিকে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে বেশি মাত্রায় ডাব বিক্রি হওয়ায় নারিকেল গাছের ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি বীজ প্রাপ্তির সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। অধিক ফলন ও লাভজনক উফশী জাতের ফসল হিসাবে ভিয়েতনাম থেকে আমদানী করা ছোট জাতের নারিকেল চারা নিয়ে আসা হয়। সারা বছর ফল উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রনালয়ের পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অধীনে এই খাটো জাতের নারিকেল চারা বিক্রি করা হয়। বানিজ্যিকভাবে এই গাছের চারার প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেড়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের মে মাসে উপকূলীয় উপজেলায় ছোট জাতের নারিকেলর চারা গাছ রোপন ও সম্প্রসারন কর্মসূচী শুরু হয়। বর্তমানে উপজেলার সর্বত্র এই চারা গাছ রোপন করা হয়েছে।
উপজেলায় কৃষিতে পুরস্কার পাওয়া বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের কৃষক কাজী আনিসুর রহমান তার খামারে ৩০টির বেশী ছোট জাতের নারিকেল চারা রোপন করেন। তিনি আরও জানান, কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী চারাগুলো যতœ নেয়ায় গাছ বেড়ে গেছে এবং ফুল আসতে শুরু করেছে।
উপজেলা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ্যাডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, তার খামারে ১৭০টির বেশী খাটো জাতের নারিকেল গাছের চারা রোপন করেন। তার রোপিত গাছেও ফুল আসতে শুরু করেছে। উপজেলার ৭ ইউনিয়নের মানুষই ছোট জাতের নারিকেল চাষ করছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান জানান, ভিয়েতনামের ছোট জাতের নারিকেল চারা রোপনে কৃষকসহ সাধারন মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ আছে। তিনি আরও জানান, দেশীয় লম্বা জাতের নারিকেল গাছে ফুল আসতে ৭-৮বছরের অধিক সময় লাগে। অথচ ছোট জাতের ভিয়েতনামের নারিকেল গাছ রোপনের ৩বছরের মধ্যেই গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এই জাতের নারিকেল গাছ সব ধরনের মাটিতেই রোপন করা যায়। নারিকেল গাছগুলো খাটো হওয়ায় পরিচর্যা করাও বেশ সহজ হওয়ায় সকলেই এই জাতের নারিকেল গাছ রোপন করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

এসবি/এমআর