তালতলীতে জমি লিখে নিতে বাঁধা দেয়ায় নারীকে মারধর!

প্রথম পাতা » বরগুনা » তালতলীতে জমি লিখে নিতে বাঁধা দেয়ায় নারীকে মারধর!
রবিবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৯


তালতলীতে জমি লিখে নিতে বাঁধা দেয়ায় নারীকে মারধর!

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

জমি লিখে নিতে বাঁধা দেয়ায় শ্যামলী রানী নামের এক নারীকে ননদের স্বামী রনজিত মাষ্টার বেধরক মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত নারীকে স্বজনরা উদ্ধার করে রবিবার (১ ডিসেম্বর) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় তালতলী  উপজেলার পাজরাভাঙ্গা গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার পাজরাভাঙ্গা গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি পরেশ চন্দ্র হাওলাদার তার বোন রেখা রানী ও ভগ্নিপতি রনজিত মাষ্টারকে বাড়ীতে আশ্রয় দেয়। বিগত দুই বছর ধরে তারা ভাইয়ের বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। বিগত তিন মাস ধরে পরশের জমি ভগ্নিপতি রনজিত মাষ্টার লিখে নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু পরেশের স্ত্রী শ্যামলির বাঁধার কারনে জমি লিখে নিতে পারেনি। এতে শ্যামলির উপর ক্ষিপ্ত হয় ননদের স্বামী রনজিত মাষ্টার ও ননদ রেখারানী। শ্যামলীকে সায়েস্তা করার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগে যায়। শনিবার শ্যামলীর স্বামী পরেশ বাড়ীতে ছিল না। এই ফাঁকে অহেতুক তর্কে জড়িয়ে শ্যামলিকে রনজিত মাষ্টার, তার সহযোগী সুভাস চন্দ্র মিস্ত্রি ও ননদ রেখারানী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রবিবার সকালে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত শ্যামলী রানী বলেন, আমার স্বামী বোকা ধরনের লোক। দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামীকে কু-পরামর্শ দিয়ে জমি লিখে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে তার ভগ্নিপতি রনজিত। কিন্তু আমার স্বামী তাদের জমি লিখে দিতে রাজি হয়নি। এতে  আমি বাধা দিয়েছি বলে মনে করে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে সায়েস্তা করার উঠেপড়ে লেগে যায়। শনিবার আমার স্বামী বাড়ীতে ছিল না। এই সুযোগে আমার সাথে অহেতুক তর্কে জড়িয়ে বেধরক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শ্যামলী রানীর স্বামী পরেশ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, মুই বাড়তে আললাম না। মোর বউরে বাড়তে এল্লারে পাইয়্যা ওরা মারছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, শ্যামলী রানীর কপালে কাটা চিহৃসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পেটানোর রক্তাক্ত জখমের চিহৃ রয়েছে।
এ বিষয়ে রনজিত মাষ্টার মারধর ও জমি লিখে নেয়ার চেষ্টার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার মান ক্ষুন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
তালতলী থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৫:০৮ ● ৪৮২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ