মহিপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চুরি না করেও গরু চুরির মামলায় পিতা-পুত্রকে আসামী করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় মহিপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে।
ওই মামলার আসামীর বড় ভাই নোয়াব হাওলাদার তার লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নে খাজুরা গ্রাম থেকে বরগুনা জেলার আমতলী থানা এলাকার সোহেল (২৫) নামে এক গরু চোরকে গত ২৫ নভেম্বর রাতে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয়রা। পরে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে থানায় হস্তান্তর করা হয় ওই গরু চোরকে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় মহিপুরের ব্যবসায়ী আব্দুর রব হাওলাদার ও তার ছেলে মিরাজ হাওলাদারকে আসামী করা হয়েছে। তাদের দাবি, এটি সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্রমূলক। একটি চক্র ব্যবসায়িক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ মামলায় তাদের পিতা পুত্রকে আসামী করেছে। ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষরা নিজেদের আড়ালে রেখে এ মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। ধৃত গরু চোরকে তারা কেউ চেনেন না। ব্যবসায়িক ভাবেও তার সাথে তাদের কোন সর্ম্পক নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রব হাওলাদারের ভাই নোয়াব হাওলাদার আরও জানান, তার ছোট ভাই মহিপুর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। তিনি একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিরা এমন গরু চুরির মামলায় ফাঁসিয়েছে। গরু চোরের সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও তাদের সন্দেহ।
তিনি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবী করেন। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, ব্যবসায়ী আঃ জব্বারসহ মহিপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ সোহেল আহম্মেদ জানান, গরু চুরির একটি মামলা হয়েছে। এক আসামী জেলে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অহেতুক কাউকে হয়রানী করা হবে না।
এএইচএ/এমআর