সাগরকন্যা রিপোর্ট॥
কুয়াকাটায় জলবায়ু পরিবর্তণে ঝুঁকি বিষয়ক স্থির চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার শেষ বিকেলে কুয়াকাটা সৈকতের শূন্য পয়েন্টে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। “আমার পৃথিবী আমার অধিকার, কার্বণ কে বাতাস থেকে কমিয়ে আনো” এমন শ্লোগান নিয়ে কুয়াকাটা তরুন ক্লাবের আয়োজনে সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ক চিত্র প্রদর্শনীতে পর্যটক ও স্থানীয়রা ভিড় করে।
অ্যালায়েন্স ফর ইয়ুথ এন্ড ডেভলপমেন্ট এর সৌজন্যে চিত্র প্রদর্শণী দেখতে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো.আব্দুল মান্নান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বদরুল হোসেন বাবুল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মেডিকেল শিক্ষা এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীতিশ চন্দ্র সরকার, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার, ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিঃ টোমো, স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক সেক্রেটারি বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সাবিরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা বরিশাল ও খুলনা বিভাগের পরিচালক মো.শরিফুল ইসলাম পরিচালক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক ঘোষ সুব্রতা, বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের উপসচিব ও সিডিএমআরআই ইসিবিএসই প্রকল্প পরিচালক মীর আব্দুল আউয়াল আল মেহেদী, আইন ও বিচার বিভাগ আইন ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অসীম শেখ, বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও দুর্দশা বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার মো. হাবিবুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ কে এম বদরুল হক, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার বলেন, দূর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছে গোটা উপকূলীয় এলাকা। মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তণের ফলে নেতিবাচক প্রভাবের দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। এবার ঘুর্ণিঝড় বুলবুল তান্ডবে শুরুতে মানুষ সচেতন হওয়ায় উপকূলে ক্ষতির পরিমান কম হয়েছে। সেই সঙ্গে বাতাসে কার্বণ নিঃসরণ বন্ধে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
কুয়াকাটা তরুন ক্লাবের সভাপতি ইব্রাহিম অহিদ জানান, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের হাতে আঁকা প্রায় ২৫০টি চিত্র এ প্রদর্শণীতে প্রদর্শন করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকা কী ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং ভবিষতে কী ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা এ চিত্র প্রদর্শণীতে তা তুলে ধরা হয়।