বশেমুরবিপ্রবি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বর্জণের ঘোষনা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা । বিগত ১৯ নভেম্বর ওই পরীক্ষার ফর্ম পূরণের শেষ দিন থাকলেও এই বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের কোনো শিক্ষার্থী ফর্ম পূরণ করেননি। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সাথে একীভূতকরণের দাবিতে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের ১৫৮ জন শিক্ষার্থীর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইইই এবং ইটিই এর কোর্স কারিকুলাম প্রায় একই হলেও চাকরির ক্ষেত্রে ইটিই এর শিক্ষার্থীরা অবহেলিত হয়। এমনকি টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের চাকরি গুলোতেও ইইই শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেয়া হয়।
ইটিই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আদিব হাসান জানান, ” যদি একটি সার্টিফিকেট অর্জন করে আমরা স্বাবলম্বীই না হতে পারি, চাকরির জন্য আমাদের হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়, তবে সেই সার্টিফিকেট দিয়ে আমরা কি করবো?” এই শিক্ষার্থী আরে বলেন ” চাকরির বিষয়টি বিবেচনা করে ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাককানইবিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং বিভাগকে ইইই তে রূপান্তরিত করেছে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেটি করছেনা।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এবং ইটিই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান জানান, “শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা শুনেছি তবে (ইটিই) বিভাগকে (ইইই) তে রুপান্তর করা এটি আমার এখতিয়ার বহির্ভূত। আমি কেবলমাত্র উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছি এবং তাদের দাবি পূরণের জন্য নতুন উপাচার্য নিয়োগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
উল্লেখ্য, বিগত ১৭ অক্টোবর থেকে ইইই এর সাথে একীভূতকরণের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে আসছে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ২০১০ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস থেকে টেলিকমিউনিকেশন ক্যাডার বিলুপ্তির পর থেকেই ইটিই শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ ক্রমাগত কমছে।
এসকে/এমআর
