বাউফল (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ বলেছেন, বেঈমানী করে মীর জাফর যে ভাবে নবাব সিরাজ উদ দৌলাকে হত্যা করে এদেশকে পরাধীনতার শিকল পড়িয়েছিল তেমনি যুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশেকে পূর্ণগঠন করার প্রাক্কালে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পাকিস্তানের দোসর স্বাধীনতা বিরোধিরা বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে এদেশের অগ্রযাত্রাকে ধংশ করে দিয়েছিল। সেই মীর জাফরের দোসরারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি ও তাদের সহযোগি স্বাধীনতা বিরোধিরা দেশটাকে লুটেপুটে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দেশে আজ চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি নাই। মানুষ সুখে এবং শান্তিতে বসবাস করছে। এটা একমাত্র শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বেরই ফসল। একজন সফল এবং দুর্নীতি বিরোধি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে আজ উন্নয়নের চমক প্রদীপ। অল্প সময়ে কী ভাবে একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটা দেখার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আজ বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশ থেকে উন্নয়নের মডেল নিয়ে তাদের দেশেরও অগ্রগতি করছেন।
উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা এবং সফলতা দেখে বিএনপি সহ স্বাধীনতা বিরোধিরা আবারো ষড়যন্ত্রের জাল বুনে যাচ্ছে। কোন না কোন ভাবে তারা শেখ হাসনা মুক্ত বাংলাদেশ চায়। এজন্য তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দব্যাদি নিয়েও তামাশা করছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে তারা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। এজন্য আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক, দুর্নীতি বিরোধি এবং নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীদের দলে ঠাই দিয়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাউফলের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ.স.ম. ফিরোজ এই কথা বলেন।
প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাউফল উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এস.এম. ফয়সাল আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ মোল্লা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম নিশু, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, প্রমূখ। সম্মেলনে আমির হোসেন হাওলাদারকে সভাপতি এবং এনামুল হক আলকাচ মোল্লাকে সাধারন সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এপি/এমআর