আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ত্রাণ পায়নি বরগুনার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া পায়রা নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ২০ টি পরিবার। ভাঙ্গা ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার ইচ্ছা করেই ভাঙ্গা ঘরের তালিকায় তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করেনি।
জানাগেছে, বিগত ১১ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানে। বুলবুলের আঘাতে তালতলী উপজেলার দুই’শ ৫৮ টি ঘর বিধ্বস্থ হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্যের গাফলতিতে তেতুঁলবাড়ীয়া এলাকার ২০ টি ঘর বিধ্বস্থ তালিকায় অর্šÍভুক্ত হয়নি। বুলবুলের আঘাতের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পায়রা নদী ভাঙ্গন কবলিত তেতুঁলবাড়ীয়া গ্রামের সোহরাফ হাওলাদার,সেলিম হাওলাদার, আনোয়ার মল্লিক,রুজিনা, খাদিজা,জয়নাল মীর, হনুফা, আলমগীর,জামাল আকন, এমাদুল,আলী হোসেন, ছত্তার হাওলাদার ও নজরুল হাওলাদারসহ ২০ টি পরিবার এখনও কোন ত্রাণ পায়নি। বুলবুলের আঘাতে ওই পরিবার গুলোর ঘর-বাড়ী বিধ্বস্থ হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। বুূলবুলে আঘাতের পর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বিধ্বস্থ ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার বুলবুলের দিন সকালে এলাকায় সবকিছু দেখে গেলেও ইচ্ছা করে ঘর ভাঙ্গা তালিকায় তেতুলবাড়ীয়া ক্ষতিগ্রস্থ কারো নাম অর্ন্তভুক্ত করেনি। তিনি তার আত্মীয় স্বজনের নামে ভাঙ্গা ঘরের তালিকা দিয়েছেন।
তেতুঁলবাড়ীয়া গ্রামের সেলিম হাওলাদার ও খাদিজা বলেন, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলে আমাদের ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। গত ১৬ দিনেও কেউ ত্রাণ নিয়ে আসেনি। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছি। দ্রুত প্রশাসনের কাছে সহযোগীতার দাবী জানাই।
আনোয়ার মল্লিক বলেন, মোর ঘরডারে বইন্যায় ভাইঙ্গা হালাইছে। গত ১৬ দিনেও মোগো ধারে কেউ আয় নাই। চেয়ারম্যান ও মেম্বরের কাছে গ্যাছেলাম হ্যারা মোগো কইছে ইউএনও কাছে যাও। মোরা ইউএনও কাছে যাইতে পারি নাই আর কিছুই পাই নাই।
ভুক্তভোগী রোজিনা বলেন, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের দিন সকালে ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার এসে ভাঙ্গা ঘর দেখে গেছেন কিন্তু তিনি ইচ্ছা করেই ঘর ভাঙ্গা তালিকায় এই এলাকার কারো নাম অর্ন্তভুক্ত করেনি।
ইউপি সদস্য আলম হাওলাদার গাফলতির কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই এলাকার ভাঙ্গা ঘরের তালিকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি নামগুলো কেটে দিয়েছেন।
তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মহসীন উল হাসান বলেন, এখনই ট্যাগ অফিসার পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর