কলাপাড়ায় মৃত হাফিজুরের কাগজপত্রে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলছেন আরেক হাফিজুর

প্রথম পাতা » মুক্তিযুদ্ধ » কলাপাড়ায় মৃত হাফিজুরের কাগজপত্রে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলছেন আরেক হাফিজুর
শনিবার ● ২৩ নভেম্বর ২০১৯


কলাপাড়ায় মৃত হাফিজুরের কাগজপত্রে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তুলছেন আরেক হাফিজুর

কলাপাড়া(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

মুক্তিযোদ্ধা মৃত হাফিজুর রহমানের ভাতা ভুয়া নামে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সন্তান লাইলি বেগম।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লাইলির স্বামী শ্রমজীবী শহিদুল ইসলাম। লাইলির অভিযোগ তার বাবা হাফিজুর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে বাড়ি। হাফিজুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের গেজেট নম্বর ৭২৭ ও সনদপত্র নম্বর ১৫০৮৬৪। গেজেট বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর ৭১৯০, তারিখ ৮-১১-২০০৪। জীবদ্দশায় ২০০৭ সাল থেকে তিনি নিয়মিত ভাতা তুলে আসছিলেন। ভাতার বই নম্বর ৩১/বি। ২০১১ সালের ৩০ নবেম্বর পর্যন্ত ভাতা তুলেছেন। একটি মামলায় হাজতে থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান ২০১২ সালের ৬ আগস্ট মারা গেছেন। হাজতী নম্বর ৯১২/১২। এরপরেই শুরু হয় জালিয়াতি।
লাইলির অভিযোগ, একটি চক্রের যোগসাজশে তারা বাবার নামে নাম বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মাতুব্বরের ছেলে হাফিজুর রহমান মাতুব্বর ভুয়া কাগজপত্র বানায়। লাইলির বাবার গেজেট নম্বর এবং ভাতার বইয়ের সবকিছু ঠিকানাসহ অবিকল রেখে এখন পর্যন্ত কলাপাড়া থেকে মুক্তিযোদ্ধার সকল ভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তার সন্তানদের স্কুল ও পুলিশে চাকরি দিয়েছেন।
লাইলি জানান, তিনি বহুবার বিষয়টি নিয়ে আমতলীতে গিয়েছেন। কোন সমাধান তো দুরের কথা। উল্টো ধমক দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। লাইলি তার বাবার নামের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ফিরে পাওয়া এবং জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। বহুবার কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান। তিনি প্রতিকার চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
এব্যাপারে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি পাল্টাঅভিযোগ করে বলেন মৃত হাফিজুর রহমান জীবিত থাকাকালে তার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নামের ভাতার বই খুলে ভাতা তুলেছেন। বিষয়টি তদন্তে ধরা পড়ায় ঠিক করে তার নামে (প্রকৃত হাফিজুর রহমান) বই খুলে ভাতাদি দেয়া শুরু করে। তিনি বরং ২০০৭ সাল থেকে ১২ সাল পর্যন্ত ভাতাদি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, এমন পাল্টাঅভিযোগ তুলেছেন। এখন হয়রানি করা হচ্ছে তাকে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩১:৩০ ● ৪৮৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ