বানারীপাড়ায় বাল্য বিয়ের প্রস্তুতিতে কনের বাবা ও ভাই’র দন্ড

প্রথম পাতা » বরিশাল » বানারীপাড়ায় বাল্য বিয়ের প্রস্তুতিতে কনের বাবা ও ভাই’র দন্ড
শনিবার ● ২ নভেম্বর ২০১৯


বানারীপাড়ায় বাল্য বিয়ের প্রস্তুতিতে কনের বাবা ও ভাই’র দন্ড

বানারীপাড়া (বরিশাল) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বানারীপাড়ায় বাল্য বিয়ের প্রস্তুতিকালে কনের বাবা স্ব-মিল শ্রমিক জামাল সরদারকে ১ মাস ও বড় ভাই কাঠ মিস্তুরী রহিম সরদারকে ১৪ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এবিষয়ে স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডে মরহুম মন্নান মৃধার মাঠে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রের্ট ও ইউএনও শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ কনের জন্মনিবন্ধন নম্বর অনলাইনে ‘শো’ না করার কারণে প্রাথমিক ভাবে সেটি ভূয়া বলে প্রমানিত হওয়ার কারণে বিয়ের আয়োজক পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে এ সাজার রায় প্রদান করেন।
এ বিষয়ে থানা হাজতে থাকা অবস্থায় পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের ভাড়াটিয়া ও পশ্চিম চাখার গ্রামের বাসিন্দা স্বমিল শ্রমিক জামাল সরদার জানান, তিন বছর পূর্বে তার মেয়ে জাকিয়া আক্তার বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে পড়া শেষ করে সংসারে কাজ করে আসছিল। চাখার ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালিন চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর ক্ষমতামলের জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী তার মেয়ের বয়স ১৮ বছর ৭ মাস। কিন্ত তার ওই জন্মনিবন্ধন কম্পিউটারের অনলাইনে ‘শো’ না করার কারণে তার মেয়ে জাকিয়ার সাথে বন্দর বাজারের সজ¦ীপট্রির চায়ের দোকানী মাহাবুব’র (২৩) বিয়ে ভেঙ্গে যায়। একই সাথে তাকে ও তার বড় ছেলেকে সাজাও পেতে হয়। জামাল হোসেন আরও জানায়, তার মেয়র জন্মনিবন্ধন করার সময় চাখার ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইন চালু করা হয়নি। এ বিষয়ে চাখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খিজির সরদার বলেন, ২০১২ সালের পর থেকে তার পরিষদের সকল জন্মনিবন্ধন অনলাইনে করা হয়।

জিএমআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০০:২৯ ● ৩০৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ