আমতলী হাঁসের খামারে আগুন!

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলী হাঁসের খামারে আগুন!
বুধবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১৯


---

আমতলী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের নাইয়াপাড়া গ্রামে মজুমদার হাঁসের খামারে মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে খামার ও চার শতাধিক হাঁসের বাচ্চা পুড়ে মারা গেছে। প্রাণে রক্ষা পেয়েছে আট শতাধিক হাঁসের বাচ্চা ও তত্বাবধায়ক রিগেন মজুমদার এবং তার দুই শিশুপুত্র। এ ঘটনায় বুধবার আমতলী থানায় সাধারণ ডারেয়ী করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের নাইয়াপাড়া গ্রামের সুদীপ্ত মজুমদার গত দের মাস পূর্বে একটি হাঁসের খামার স্থাপন করে। ওই খামারে এক হাজার দুই’শ হাঁসের বাচ্চা লালন পালনের জন্য উঠায়। ওই খামার দেখাশুনা করে খামার মালিক সুদীপ্ত মজুমদারের ভাইয়ের ছেলে রিগেন মজুমদার। মঙ্গলবার রাতে ওই খামারে তত্ববধায়ক রিগেন মজুমদার ও তার দুই শিশুপুত্র হৃদয় ও জয়ন্ত ঘুমিয়েছিল। গভীর রাতে ওই খামারের দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের তাপে রিগেনের ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনের লেলিহান শিখায় খামারের ত্রিপলার প্রাচীর, বাচ্চা রাখার খাঁচা ও চার শতাধিক হাঁসের বাচ্চা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় খামার মালিকের মেঝ ভাই নিরাঞ্জন মজুমদার বুধবার আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
খামারের তত্ববধায়ক রিগেন মজুমদার সাগরকন্যাকে বলেন, আমার দুই ছেলে হৃদয় ও জয়ন্তকে নিয়ে আমি খামারে ঘুমিয়েছিলাম। গভীর রাতে আগুনের তাপে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে ডাক-চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি আরো বলেন, টের না পেলে হাঁসের বাচ্চাতো রক্ষা পেতোই না, আমিসহ আমার দুই শিশুপুত্র পুড়ে মারা যেতাম।
পিন্টু, পরাণ রায় ও  শিশু দাস বলেন, ডাক চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি। তারা আরো বলেন, এতে ওই খামারের হাঁসের বাচ্চা, খামারের বেড়া ও খামারের বাচ্চা রাখার খাঁচা পুড়ে গেছে।
খামার মালিক সুদীপ্ত মজুমদার বলেন, আমার খামারের ক্ষতি সাধনের জন্য একটি চক্র একাজটি করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৪:০৭ ● ৫৩০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ