আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহীন হাওলাদার হতদরিদ্রদের ঘর দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হতদরিদ্র আম্বেলা বেগম ও মিলন মোল্লা নামের দুইজন ইউপি সদস্যে বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন।
জানাগেছে, দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের হতদরিদ্রদের মাঝে দূর্যোগ সহনীয় ৩৩টি ঘর প্রদানের জন্য গত বছর আমতলী উপজেলা পিআইও অফিসে তালিকা চায়। ওই তালিকার ঘর দেয়ার কথা বলে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহিন হাওলাদার ও তার ভাতিজা শামিম হাওলাদার হতদরিদ্র আম্বেলা বেগমের কাছ থেকে ১৫ হাজার ও মিলন মোল্লার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। পিআইও অফিস উপজেলার ৩৩ জন হতদরিদ্র পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। ওই ৩৩ টি ঘরের মধ্যে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের আম্বেলা বেগম ও মিলন মোল্লার নাম নেই। তাদের নাম তালিকায় না থাকায় তারা ইউপি সদস্য শাহীন হাওলাদারের কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চায় কিন্তু ইউপি সদস্য ওই ঘুষ টাকা দিতে অস্বীকার করে। নিরুপায় হয়ে আম্বেলা বেগম ও মিলন মোল্লা বিভিন্ন দফতরে ইউপি সদস্য শাহীন ও শামিমের বিরুদ্ধে অফিযোগ করেছেন। সম্প্রতিক বরগুনা জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আমতলী ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইউএনও বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) কমলেশ মজুমদারকে নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার ৩০ অক্টোরব বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউপি সদস্য শাহীন, তার চাচা শামিম ও ভুক্তভোগীকে নোটিশ প্রদান করেছেন।
ভুক্তভোগী মিলন মোল্লা বলেন, ইউপি সদস্য ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিল। ওই টাকা সে ফেরত দিয়েছেন।
আম্বেলা বেগম বলেন, ঘর দেয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য শাহীন হাওলাদার ও তার চাচা শামীম আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। কিন্তু ঘর দিতে পারেনি এবং আমার ওই টাকা এখনও ফেরত দেয়নি।
ইউপি সদস্য শাহীন হাওলাদার টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার শত্রুপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) কমলেশ মজুমদার বলেন, ইউপি সদস্য শাহীনের বিরুদ্ধে ঘর দেয়ার নামে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগের তদন্তের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী কাল (বুধবার) তদন্ত করা হবে।
এমএইচকে/এমআর