দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেতুঁলিয়া ও বুড়া গৌরাঙ্গ নদীতে অবরোধের আর মাত্র ৫দিন বাকি তবে জেল জরিমানাও থামছেনা মা ইলিশ নিধন। দ্রুতগামী নৌযান না থাকার ও জনবল সংকটের কারনে মা ইলিশ নিধন ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। নদীর একদিকে অভিযান পরিচালনা করলে অপরদিকে জাল ফেলে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের যোগসাজেশে জেলেরা মা ইলিশ নিধন করছে। ওইসব অসাধু ব্যক্তিরা নদীর পারে পাহারা বসিয়ে সার্বক্ষনিক নজরে রাখছে প্রশাসনে লোকজনের উপর।
উপজেলা মৎস্য টার্স্কফোর্স, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের লোকজন দেখলে মোবাইল কিংবা লেজার লাইট দিয়ে সংকেত দিলে জেলেরা নিরাপত্তায় পালিয়ে যান। টার্স্কফোর্সের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযান না যেন আমাদের শারিরীক ও মানসিক কষ্ট দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, নদীতে যেসব ট্রলার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয় তার চেয়ে বেশী দ্রুতগামী জেলেদের ট্রলার। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাশঁবাড়িয়া, ঢনঢনিয়া, আমবাড়িয়া, কেদির হাট, গোলখালী, রণগোপালদীর আউলিয়াপুরসহ ৭টি পয়েন্টে নিধনকৃত মা ইলিশ বেচাকেনা। নলখোলা বন্দরের আবুল বশারজানান, তিনি প্রায় ২কেজি ওজনের ১৩হালি মা ইলিশ আউলিয়াপুর বেড়ীবাধঁ থেকে ৭হাজার ক্রয় করেন। বাশঁবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন স্থানীয় সংবাদকর্মীদেরকে জানান, নৌ- পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের কতিপয় লোকদের যোগসাজেশে কতিপয় অসাধু জেলেরা নদীতে মা ইলিশ নিধন করে আসছে। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগ অস্বীকার করে মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুর আলম তালুকদার জানান, ওই ইউপি চেয়ারম্যান লোকজন দিয়ে মাছ ধরান। মা ইলিশ রক্ষায় অপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দশমিনা নৌ- পুলিশ ফাড়িঁ ইনচার্জ এস,আই উত্তম জানান, একটি স্বার্থনেষীমহল অবৈধ সুযোগ সুবিধা না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। আমরা এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫৭জন জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া ৪৫ লাখ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে এবং ৭টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার শূভ্রা দাস জানান, দ্রতনৌযান, জনবল, বাজেট কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে মা ইলিশ রক্ষায় আর বাজেট বেশি প্রতিরোধ করা সম্ভাব।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুউল্ল্যাহ জানান, জনবল সংকট, দ্রতনৌযান না থাকায়, বাজেট অপ্রতুল ও কোষ্টগার্ডের স্বল্পতার কারনে এমন সমস্যা হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবল ও বাজেট পেলে প্রতিরোধ করা সম্ভাব।
এসবি/এমআর