দশমিনার তেঁতুলিয়া নদীতে ইউএনও’র অভিযান

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » দশমিনার তেঁতুলিয়া নদীতে ইউএনও’র অভিযান
সোমবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৯


দশমিনার তেঁতুলিয়া নদীতে ইউএনও’র অভিযান

দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য পটুয়াখালীর দশমিনার তেতুঁলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ-পুলিশ’সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বেশ তৎপর দেখা যাচ্ছে জাতীয় সম্পদ রক্ষায়। এখন ইলিশ মাছ ধরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা চলছে সেটিকে তারা বেশ কঠোরভাবেই প্রয়োগ করছেন।
সোমবার (২১অক্টোবর) নিষেধাজ্ঞা শুরুর ১৩দিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস এর নেতৃত্বে তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দশমিনার হাজীর হাট ঘাট থেকে শুরু করে উপজেলার ৪০কিঃ মিঃ নদীতে অভিযানে নৌ-পুলিশ ইনচার্জ উত্তম, মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম ঝান্টা, কৃষি কর্মকর্তা বনি আমিন খান ও দশমিনা থানার এ এস আই মোশারেফ হোসেনসহ আরও অনেকে অভিযানে ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাস বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় কোন ছাড় দেয়া হবে না। “একটি ইলিশ একবারে গড়ে দশ থেকে বারো লক্ষ ডিম ছাড়ে। ভেবে দেখুন এটা কত বড় একটা বিষয়”। মা ইলিশ এবং জাটকা রক্ষার জন্য বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্যই বেশ জোরালোভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, থানা, নৌ-পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সবাই একসাথে কাজ করছে। দিন-রাত মিলিয়ে পালাক্রমে নদীতে টহল দেয়া হচ্ছে। ইউএনও শুভ্রা দাস মা ইলিশ রক্ষার জন্য এখন এক ধরনের ‘যুদ্ধ চলছে’। কারণ ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। মা ইলিশ রক্ষায় দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যেখানে আন্তরিক সেখানে এ সম্পদ কেন আমরা রক্ষা করতে পারব না।
তিনি আরো বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ইলিশ আহরণ, বেচাকেনা, পরিবহন ও মজুুদ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। আমরা দিনরাত নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। জাতীয় সম্পদ যারা বিনষ্ট করবে তারা দেশের শত্রু। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ৯ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ শিকার-যা কার্যকর থাকবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। মা ইলিশ রক্ষায় সরকার এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমা লক্ষ্য রেখে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এ সময়ে ডিম ছাড়ার জন্য ৭০-৮০ ভাগ মা ইলিশ গভীর সাগর ছেড়ে নদীর মিঠা পানিতে চলে আসে।

এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২১:২৬:০৫ ● ৩৫২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ