কুয়াকাটার সৈকত বস্তিবাসীর দখলে!

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটার সৈকত বস্তিবাসীর দখলে!
শুক্রবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১৯


কুয়াকাটার সৈকত বস্তিবাসীর দখলে!

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটা সৈকত এখন বস্তিবাসীর দখলে চলে যাচ্ছে। ধু-ধু সাদা বালুর উপরে নুতান করে ঘর তৈরী করে ময়লা আর্বজনায় নাকাল গোটা সৈকত।
বিশ্বের কোন দর্শনীয় সৈকতে এমন দৃশ্য নেই  বলে অভিযোগ কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটকদের। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ৪৮ নং পোল্ডারে বেড়ীঁবাধ সংস্কার করার জন্য চীনা কোম্পানী কাজ করলে রাস্তার উপরে থাকা ছোট ছোট ঘরগুলো বালুর চরে গিয়ে আবার ঘর তেরী করে। প্রায় ২ শতাধীক পরিবার স্থানীয় মেয়র কাউন্সিলর‘র সাথে ঘর তোলা নিয়ে মৌখিক অনুমতি আনতে গেলে তারা নিষেধ করেছে এমটা খবর পাওয়া গেছে।  নোংরা দুষিত এই পরিবেশ দেখে পর্যটকদের বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দ্রুত এ বস্তিগুলো অপসারণ না করলে কুয়াকাটা থেকে আগত পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে আমনটাই ক্ষোভ প্রকাশ করছে কুয়াকাটার ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে-কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে বেরীবাঁধের উপরে থাকা  প্রায় দুই শতাধিক ছোট ছোট ঘর ভেঙ্গে নিয়ে রাতের আঁধারে সৈকতে স্থাপনা তৈরী করে। পাউবো কর্তৃক চীনা কোম্পানী ওই বেরীবাঁধ সংস্কারের জন্য গত বছর এ কাজ হাতে নেয়। ক্ষতিপূরণ টাকা পেয়েও অনেক জেলে পরিবার সাগরে মাছ ধরার র্স্বাথে বাধা নিষেধ উপেক্ষা করে খামখেয়ালীপনার আশ্রয়ে সৈকতে অবস্থান গেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারের পক্ষে কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান করলেও কিছুদির পর আবার ভুমি অফিসের নজরদারী না থাকায় ওই ঘরগুলি তৈরী করছে জেলেরা।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নাদিয়া সুলতানা (২৯) জানান, কুয়াকাটার নাম শুনছি অনেক আগে জায়গাটা নাকি অনেক সুন্দর তাই দেখতে আসলাম, বীচে নামতেই যা দেখছি তা আশা করিনি। নোংরা পরিবেশ আর সাগর পারে বস্তির মত ঘরবাড়ী, জেলেদের নৌকা পরে আছে, জালথেকে দূর্গন্ধ বেড় হচ্ছে এসব দেখতে দেশী বিদেশী পর্যটক আসবেনা। কিন্ত এছাড়া সৈকতের ২ কিলো পরে যে প্রকৃতির ছোয়া আছে তা দেখে মুগ্ধ হলাম।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (কুটুম)‘র সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব অভিযোগ করে বলেন, সৈকতে যে অব্যবস্থাপনা ঝুপরি ঘরবাড়ী নোংরা পরিবেশ এসব সী-বিচ ম্যানেজমেন্ট অদক্ষের কারণে এইসব আমাদের দেখতে হয়। বিশ্বর কোন সৈকতে এই পরিবেশ নেই। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সুন্দর পরিবেশ করার জন্য এসব দ্রুত পরিস্কার দরকার-প্রয়োজনে আমরা সাথে থাকবো।
এ ব্যপারে কুয়াকাটা বীচ-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিবুর রহমান মুনিব জানান, সৈকতে যে ঝুপরি ঘরবাড়ী রয়েছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো অপসারনকরা হবে। আর সৈকতের সৌর্ন্দয্য বর্ধণে আমরা পরিকল্পিত ভাবে কাজ শুরু করবো।

এইচএ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৪:২৯ ● ৩৫৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ