কলাপাড়ায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির কাছে গ্রাহক জিম্মি

প্রথম পাতা » লিড নিউজ » কলাপাড়ায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির কাছে গ্রাহক জিম্মি
শনিবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯


প্রতীকী চিত্র
কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস ॥
১০ সেপ্টেম্বর মিটারের রিডিং ছিল ১২৪৩৮। অথচ একই তারিখে পল্লী বিদ্যুত সমিতি রিডিং লিখেছে ১২৫০০। যেখানে ১০ আগস্টেও রিডিং দেখানো হয়েছে ১২২৮০। তাতে হওয়ার কথা ১৫৮ ইউনিট। অথচ গ্রাককে বিল দেয়া হয়েছে ২২০ ইউনিটের। মূল বিল দেখানো হয়েছে ১০৯৫ টাকা। সাকুল্যে ১১৮৬। এখানে সঠিকভাবে মিটার রিডিং দেখে বিল দেয়া হলে এ গ্রাহকের মূল বিল আসত ১৫৮ ইউনিট। যেখানে প্রথম ধাপে ৭৫ ইউনিটে ৩০০ টাকা। বাকি ৮৩ ইউনিটে ৪৫২ টাকা ৩৫ পয়সা। মোট ৭৫২ টাকা ৩৫ পয়সা। অথচ একটি ধাপ অর্থাৎ তিন ধাপে ফেলা হয়েছে গ্রাহককে। বিলটি প্রস্তুতের তারিখ রয়েছে ১৩ সেপ্টেম্বর। পরিশোধের শেষ তারিখ ২ অক্টোবর। বিলটি শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেয়া হলো। পরিশোধের শেষ তারিখের চারদিন আগে। পল্লী বিদ্যুত সমিতি কলাপাড়ার এমন গ্রাহক সেবায় গ্রাহকরা তটস্থ হয়ে পড়েছেন।

ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানান, এর প্রতিকার কী। কীইবা করার আছে। এদেরকে বলে কোন লাভ হচ্ছে না। এমনিতেই কলাপাড়ায় নানান কায়দায়, নানান ফন্দিফিকির আর অজুহাতে ১০-১২ বারে বিদ্যুত ট্রিপ করা হয়। বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকে গড়ে চার-পাঁচ ঘন্টা। বিষয়টি এখন সমালোচনার পর্যায়ে পৌছেছে। সরকার যেখানে বিদ্যুত উৎপাদনে ইর্ষণীয় সাফল্যে রয়েছে। সেখানে বিতরণজনিত ত্রুটির কারণে সরকারের বদনাম হচ্ছে। এখন কলাপাড়ার গ্রাহকদের দেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া লোডশেডিং শব্দটির কথা মনে পড়ছে। কলাপাড়ার কুড়ি সহ¯্রাধিক গ্রাহক এসব অনিয়ম, খামখেয়ালিপনা আর সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন। রিডিং দেখে যথাযথ বিল প্রদান করা। বিল পরিশোধের শেষ তারিখের কমপক্ষে ১০দিন আগে বিল পৌছে দেয়া। আর বিদ্যুত বিভ্রাট দুর করা।

পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিডজিএম প্রকৌশলী মো: শহিদুল ইসলাম বরাবরের মতো করেই বললেন, বিষয়টি দেখবেন; দেখছেন।

এমইউএম/কেএস

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫০:৩৪ ● ১০৯২ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ