রাজবাড়ীর পদ্মায় পানি বাড়ায় শুরু হয়েছে ভাঙন
প্রথম পাতা »
ঢাকা »
রাজবাড়ীর পদ্মায় পানি বাড়ায় শুরু হয়েছে ভাঙন
মঙ্গলবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
রাজবাড়ী সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বিগত বছরের বর্ষা মৌসুমে রাজবাড়ী শহর রক্ষাকারী নদী তীরবর্তী বাঁধ ফেজ-১ এর ক্ষতিগ্রস্থ স্থানের গোদার বাজার এলাকার এনজিএল ইট ভাঁটা সংলগ্ন সংস্কার কাজে পুনরায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ পদ্মার পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ¯্রােতের কারণে এ ভাঙ্গনের শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে ইট ভাটার প্রায় ২০ হাজার ইটসহ ওই এলাকার প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মিটার অংশ মুহুর্তের মধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা না হলে যে কোন মুহুর্তে এনজিএল ইট ভাটা, শহর রক্ষাকারী বাঁধ ও নদী তীরবর্তী এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার সকালে ভাঙ্গন দেখা দিলেও গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইট ভাঁটা কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় এলাকাবাসী গত বছরের বর্ষা মৌসুমে রাজবাড়ী শহর রক্ষাকারী নদী তীরবর্তী আড়াই কিলোমিটার বাঁধ ফেজ-১ এর কাজের গোদার বাজার এলাকার প্রায় দের কিলোমিটার অংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
ফের রোববার সকালে একই স্থানের ৭০ থেকে ৮০ মিটার ও মহাদেব পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে ৩০ মিটার অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনে এ স্থানে অবস্থিত এনজিএল ইট ভাটার প্রায় ২০ হাজার ইটও নদীতে চলে গেছে। অন্যদিকে মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়েছে হুমরি মুখে। এ ছাড়া ভাঙ্গন স্থানের আশপাশে বড় বড় ফাটল রয়েছে এবং নদীতে রয়েছে তীব্র ¯্রােত ও ঘূর্নন। যে কারণে ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভাঁটা কর্তৃপক্ষ।
ভাটার শ্রমিকরা বলেন, সকালে ভাটার পাশে ফাটল দেখা দিলে তারা স্তুপ করে রাখা ইট গুলো সরানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। অল্প কিছু ইট সরাতে পেরেছিলেন। এ সময় নদীতে প্রায় ২০ হাজার ইট নদীতে চলে গেছে। ভাঁটা না থাকলে তারা বেকার হয়ে পড়বে। তাই দ্রুত গতিতে ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ করেন।
এনজিএল ইট ভাটার পরিচালক আলামিন মোস্তফা বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার ইট ভাঁটা সংলগ্ন শহর রক্ষাকারী বাঁধের সংস্কার কাজের ৭০ মিটার অংশ মুহুর্তের মধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে যায়। এ সময় সেখানে তার ভাটার প্রায় ২০ হাজার ইট স্তুপ করা ছিল। ভাঙ্গনের পর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানালেও বিকাল পর্যন্ত ভাঙ্গন রোধে কেউ ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। ভাঙ্গন রোধে অতিদ্রুত কাজ শুরু না করা হলে রাতের মধ্যে ইট ভাটার মুল অংশ ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। ভাটায় প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক কাজ থেকে বঞ্চিত হবে। এ ছাড়া ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়বে শহর রক্ষাকারী বাঁধ। তাই জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আজ কয়েকদিন পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র ¯্রােত। যে কারণে শহর রক্ষাকারী বাঁধের গোদার বাজার এলাকার সংস্কার কাজের প্রায় ৩০ মিটার অংশ নদীতে বিলিন হয়েছে। ভাঙ্গনের পর ক্ষতিগ্রস্থ স্থান পরিদর্শন করেছেন এবং বিকাল থেকেই বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হবে বলে জানান।
এফএন/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৪:০৫ ●
৪৫৮ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)