দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’ দেবীদ্বারে
প্রথম পাতা »
ইসলামী জীবন »
দৃষ্টিনন্দন ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’ দেবীদ্বারে
শুক্রবার ● ১১ জানুয়ারী ২০১৯
সাগরকন্যা ইসলামী ডেস্ক॥
কুমিল্লার দেবীদ্বারের গুনাইঘর গ্রাম। সেখানে ঐতিহ্যের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’। চারটি সুদর্শন মিনার, সাতটি গম্বুজ ও অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফির নান্দনিকতায় মসজিদটি অনন্য রূপ লাভ করেছে।
অনন্য নির্মাণশৈলীর কারণে মসজিদটি দেশের বিখ্যাত মসজিদগুলোর অন্যতম হিবেবেদাবী করছে স্থানীয়রা। প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সংসদসদস্য আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি। ২০০২ সালের ১০জুলাই তিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মসজিদটির নির্মাণকাজে একটানা আড়াই বছর ২৮ জন দক্ষ মিস্ত্রি কাজ করে। ঐতিহ্যের মিশ্রণ ও আধুনিকতার সমন্বয়ে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়।
কোরআনের আয়াতের অসংখ্য ক্যালিওগ্রাফিতে আঁকা ব্যাতিক্রমধর্মী নির্মাণশৈলির ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’টি বেশ দৃষ্টিনন্দন। প্রচুর পর্যটকও ভীড় করছেন মসজিদের নির্মাণ-স্থাপত্য দর্শনে।
মসজিদটির চার কোনায় চারটি মিনার রয়েছে।মিনারগুলোর উচ্চতা ৮০ফুট। এছাড়াও গম্বুজ রয়েছে ৭টি। মসজিদের আয়তন ৪৮ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৬ফুট প্রস্থ। মূল অংশে শতাধিক মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারেন। এছাড়াও মসজিদের সম্মুখে টাইলসকৃত আঙ্গিনায় কয়েক শ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
মসজিদের বাইরের অংশে বেশ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন রঙের বৈদ্যুতিক বাতিরআলোয় রাতে মসজিদটি বেশ সুন্দর দেখায়। মসজিদেরছাদে লেখা ‘আল্লাহু’শব্দটি অন্ধকারে দীপ্তি ছড়ায়।
ক্যালিওগ্রাফির কারণে মসজিদটি অনন্য হয়ে ওঠেছে। বাংলা ও আরবিতে প্রচুর ক্যালিওগ্রাফি রয়েছে এতে। কারুকাজ ও নন্দনশিল্পের কাজ করেছেন খ্যাতিমান ক্যালিওগ্রাফার আরিফুর রহমান। আরবি শৈল্পাক্ষরে মসজিদদের গায়ে সুরা আর রহমান, আয়াতুল কুরছিও ‘চার কুল’ ইত্যাদি লেখা হয়েছে।
মসজিদের ভেতরের মূল অংশে ৫টি গম্বুজ আছে। একটিতে আয়াতুল কুরছি লেখা। অন্য চারটি গম্বুজের প্রত্যেকটিতে আলাদা ‘চার কুল’ লেখা। মসজিদটির বাহিরের দেয়ালে অনেকগুলো চাঁদ-তারা অঙ্কিত রয়েছে।
ইট, সিমেন্ট, বালির পাশাপাশি মসজিদটিতে চিনামাটি ও টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে। কারুকার্যগুলো মুঘল-তুর্কি ও পারস্যের শৈল্পিকতার সংমিশ্রণে করা হয়েছে। মোট তিনশ ৫০ মন চিনামাটির টুকরো ও দু’শটি কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে।
মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে একটি বাগান রয়েছে। সাদা পাথরে মোড়ানো পাড়বিশিষ্ট বিশাল আকৃতির একটি জলধারও রয়েছে।
২০০৫ সালের ১৪ জানুয়ারি শুক্রবারে পবিত্র জুমআর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মসজিদটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
যাতায়াত যেভাবে
কুমিল্লা জেলা শহর থেকে বাসে দেবীদ্বার। সেখান থেকে ২/৩ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রাম ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’।
বাংলাদেশ সময়: ৯:৩২:২৩ ●
৫৭০ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)