সাগরকন্যা কলাপাড়া অফিস ॥
যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগের বিরুদ্ধে পাঁচ ভূমিহীন পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বালিয়াতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়াতলী গ্রামের ইনারা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, পাঁচটি বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে সরকার তাদের সাড়ে সাত একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়। তারা ওই জমিতে বসবাসসহ চাষাবাদ করে আসছিলেন। যার প্রকৃত মালিক তাঁরা পাঁচ পরিবার। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে শামিম আল সাইফুল সোহাগ সোনাপাড়া মৌজার খাস খতিয়ান ৩১৯১/৩১৯ নং দাগের পাঁচ একর জমি ভূমি অফিসকে ভুল তথ্য দিয়ে ডিসিআর কেটে মাছের ঘের করেন। সাত বছর আগে তাঁর ডিসিআরের মেয়াদ শেষ হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাঁদের জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এর প্রতিবাদ করায় ঢাকা, পটুয়াখালী ও কলাপাড়ায় এসব দরিদ্র পরিবারের নামে ১১টি মামলা করা হয়েছে। শুধুমাত্র হয়রানী করতে এমনটি করা হচ্ছে।
তাঁদের অভিযোগ, আদালত ইনারাদের দখলে থাকা জমিতে অপর কাউকে অনুপ্রবেশ করার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। কিন্তু যুবলীগ নেতা সোহাগ তাদের জমির ওপর বাঁধদিয়ে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি করেন। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করলে তাঁর নির্দেশে সরেজমিনে সত্যতা পেয়ে ভূমি কর্মকর্তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাঁধ কেটে তাঁদের জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জনৈক মাকিত হোসেনকে বাদী বানিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভূমিহীন নুর ছায়েদ হাওলাদার, তহশিলদার কামরুল ইসলাম,সোহেল, নোয়াব আলী, নুর মোহাম্মদ, নুর ইসলাম, ও ইনারা বেগমকে আসামী কওে কলাপাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ইনারা বেগমসহ ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের দাবি, যুবলীগ নেতা হওয়ায় তার সন্ত্রাসী বাহিনী মাকিত, রিপন, মাসুদ ও খলিল তাঁদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। মামলা দিয়ে হয়রানী করছে শুধু জমি দখলের জন্য। তাঁরা যুবলীগ এই রোষাণল থেকে মুক্তি পেতে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
যুবলীগ নেতা এ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ, তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিঁনি ওই পাঁচ পরিবারের জমিতে কোন ধরনের কর্মকান্ড করছেন না। তিনি এও বলেন, কিছুদিন আগে তাঁর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে, জমি বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে করা সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে এটি নিছক পাল্টাসংবাদ সম্মেলন। আর কিছুই নয়।
এমইউএম/কেএস