শাহনাজ আক্তারের বাইক চুরির মামলায় গ্রেপ্তার জোবাইদুল ইসলাম এডমন ওরফে জনির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত বুধবার এই আদেশ দেন।
এর আগে আসামি জোবাইদুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ।
আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, বাদী শাহনাজ আক্তার উবারে বাইক চালান। গত ১০ জানুয়ারি বাদীর সঙ্গে জোবাইদুলের পরিচয় হয়। জোবাইদুল সেদিন বাদীকে জানিয়েছিলেন, তিনি পাঠাওতে বাইক চালান। আসামি তখন বাদীকে জানান, তিনি বাদীকে স্থায়ী চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন। পরে বাদী আসামিকে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করেন। ১৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে আসামি বাদীকে খামারবাড়ি আসতে বলেন। আসামির কথামতো বাদী সেখানে হাজির হন। আসামি কোনো লোক না নিয়ে বাদীর বাইকে বসে এয়ারপোর্টে যেতে বলেন। বাদী ও আসামি বাইকে বিমানবন্দরসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে সেদিন বিকেল তিনটার সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আসেন। সেখানকার একটা চায়ের দোকানে বসে আসামি ও বাদী চা পান করেন। চা পানের পর আসামি জোবাইদুল বাইক চালানোর কথা বলে বাইক চুরি করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় শাহনাজ আক্তার বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় গতকাল মঙ্গলবার চুরির মামলা করেন।
রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে আরও বলা হয়, প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ১৬ জানুয়ারি ভোর ৪টার দিকে জোবাইদুলের নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুরের বাসা থেকে শাহনাজের বাইক উদ্ধার করা হয়। আসামি ও তাঁর অন্যান্য সহযোগীরা বিভিন্ন কৌশলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না এবং তাঁর সহযোগীদের কাছে থাকা বিভিন্ন চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
তবে জোবাইদুলের আইনজীবীরা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল করে তাঁর জামিন চান। আদালতের কাছে জমা দেওয়া লিখিত আবেদনে তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেন, আসামিকে হয়রানি করার জন্য বাদী সাজানো ঘটনা দিয়ে মামলা করেছেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামি জোবাইদুলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম খান বলেন, জোবাইদুলকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাইকটি তাঁর বাসার বারান্দায় ছিল। আসামি জোবাইদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।